Advertisement

Technical Azad

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন

 

         অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন 

          আপনার যদি একটি ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ থাকে তবে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন। মানুষের প্রযুক্তি অনলাইন নির্ভর মানসিকতার কারণে বিশেষ কোনো ডিগ্রি বা দক্ষতা না থাকলেও অনেকে বাড়িতে বসে অনলাইনে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন। আপনি আপনার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে  মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। আজকে আমি এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো সকল বিষয় আলোচনা করব।

 

          আজকে আমরা আলোচনা করব -

            ১। এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

         ২। এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো

 

         ১। এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

         এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন পণ্যের প্রমোশন করে পণ্যটি বিক্রি করানো, যেখানে পণ্যের প্রমোশনকারী বিক্রয়মূল্যের উপর কিছু পারসেন্ট কমিশন পেয়ে থাকে। অর্থাৎ এফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি ব্যবসা যে ব্যবসাতে আপনার নিজস্ব কোন পণ্যের বা পরিষেবার প্রয়োজন হয় না কিন্তু আপনি অন্য কোন কোম্পানির পণ্যকে প্রচার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন পারসেন্টেজ হিসেবে। 


        আরো সহজ কথায় বলতে গেলে অন্যের পণ্য আপনার ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেলে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করে কমিশন ইনকাম করাকে বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং।

 

        ২। এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবোঃ

        আসুন জেনে নিই কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন এবং এর থেকে কীভাবে অর্থ ইনকাম করবেন -

 

        ১। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অনেক ফলোয়ার থাকতে হবেঃ

        এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অনেক ফলোয়ার থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য প্রথমে আপনার ওয়েব সাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক  পেজ  থাকতে হবে। এবং সেই পেজ বা ইউটিউব চ্যানেলে অনেক দর্শক থাকতে হবে। কারণ, যেকোনো প্রোডাক্টের  মার্কেটিং করার জন্য সবচেয়ে  জরুরি  দর্শক। যেকোনো পণ্য অনলাইনে মার্কেটিং করার জন্য ওয়েব সাইট,ফেসবুক পেজ অথবা  ইউটিউব চ্যানেল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

 

        ২। ভালো এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েনঃ

        এফিলিয়েট মার্কেটিং  শুরু করার জন্য ভালো এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন হতে হবে।  কেননা এফিলিয়েট মার্কেটিং -  কাজ করার প্রথম ধাপ হচ্ছে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম সাইন আপ করা। এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করার পর আপনার যে পন্য সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে সে সকল পন্য নির্বাচন করতে করতে হবে। নির্বাচিত পণ্য আপনার ওয়েব সাইট, ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেসবুক পেজে শেয়ার করে বিক্রি করে করে কমিশন ইনকাম করতে পারবেন।

 

        ৩। মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবেঃ

        এফিলিয়েট মার্কেটিং  শুরু করার জন্য মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা অনেক সহজ। কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ শুরু করতে আপনাকে অবশ্যই  মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। নতুবা আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং দুনিয়াতে টিকে থাকা বড় কঠিন হয়ে পড়বে।

 

        ৪। বেশি চাহিদা রয়েছে এমন পণ্য নির্বাচনঃ

        এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য বেশি চাহিদা সম্পন্ন পণ্য নির্বাচন করতে হবে।  এফিলিয়েট মার্কেটিং - সফল হওয়ার অন্যতম সর্ত বেশি চাহিদা সম্পন্ন পণ্য নির্বাচন করে মার্কেটিং করা। অনলাইনে যেসব পণ্যের বেশি চাহিদা রয়েছে যেমন- স্মার্ট ঘড়ি, স্মার্ট ফোন, অনলাইনে বিভিন্ন জনপ্রিয় পণ্য রিভিউ করা, অথবা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করা। যার মাধ্যমে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে  কমিশন উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়া আপনার ফেসবুক, টুইটারে পোস্টকরার মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে ডিটেলস জানাোতে পারবেন।

 

        ৫। টার্গেট ট্রাফিক সাইটে মার্কেটিংঃ

        এফিলিয়েট মার্কেটিং - সফল হওয়ার জন্য টার্গেট ট্রাফিক সাইটে মার্কেটিং করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে পন্যটি বিক্রি করবেন সে পণ্যটি কারা কিনবে, কোন বয়সের মানুষের জন্য পণ্যটি বেশি প্রয়োজন হয় বিবেচনা করে আপনার ট্রাফিক অনুসারে পণ্যের উপর মার্কেটিং করতে হবে। আপনি যদি আপনার নির্বাচিত পণ্য টার্গেট ট্রাফিক সাইটে মার্কেটিং করতে না পারেন তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং - সফল হতে পারবেন না।

 

        ৬। ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবেঃ

        এফিলিয়েট মার্কেটিং - সফল হওয়ার জন্য একটি ভালো ওয়েবসাইট তৈরি  জরুরি। এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে সফলতা পাওয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে  একটি ভালো ওয়েবসাইট। এক্ষেত্রে আপনি ব্যানার তৈরি করে মানুষের কাছে এই পণ্যটি ব্যাপারে জানাতে পারবেন। প্রচারের জন্য ওয়েবসাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

        ৭। আপনার সাইট কে অপ্টিমাইজ করতে হবেঃ

        এফিলিয়েট মার্কেটিং - সফল হওয়ার জন্য আপনার সাইটটি অপ্টিমাইজ করতে হবে। এজন্য অন-পেজ SEO গুরুত্বপূর্ণ। মেটা ট্যাগ, শিরোনাম, এবং ইমেজ অল্ট টেক্সটের মতো সঠিক অন-পেজ SEO করে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং পণ্য সম্পর্কে কিছু কীওয়ার্ড দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে  কনটেন্ট তৈরী করতে হবে। এবং আপনার সাইটটিকে মোবাইল-ফ্রেন্ডলি তৈরী করুন।

 

        ৮। ভালো কন্টেন তৈরিঃ

        এফিলিয়েট মার্কেটিং - সফল হওয়ার জন্য ভালো কন্টেন তৈরি অপরিহার্য। এক্ষেত্রে আপনার কন্টেন তথ্যপূর্ণ, আকর্ষণীয় হওয়া জরুরি। এছাড়া আপনার কন্টেন SEO ফ্রেন্ডলি হতে হবে। তাহলে অনেক দর্শকের কাছে আপনার কন্টেনটি  যাবে। আর এতে পণ্য বিক্রির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।  এফিলিয়েট মার্কেটিং যারা করে তারা পণ্যের কোডটি কপি করে ট্রাফিক সাইটগুলোতে পণ্যের ডিটেলস দিয়ে মার্কেটিং করে। দর্শকরা আপনার ওয়েবসাইট থেকে পন্য সম্পর্কে জেনে আপনার মাধ্যমে পন্যটি ক্রয় করবে। আর আপনি আপনার কমিশন উপার্জন করতে পারবেন। এভাবেই আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।

 

        শেষ কথাঃ

        আপনি আপনার ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেলে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে  পণ্য সম্পর্কে আপনার ভিজিটরদের বলতে পারেন এবং বিক্রি করে অর্থ ইনকাম করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং- আপনি যে কোনও অনলাইন স্টোরে সাইন আপ করতে পারেন। এর পরে, আপনি আপনার পছন্দের পণ্য সম্পর্কে অন্য লোকেদের জানিয়ে বিক্রি করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আজকের পোষ্টটি ভালো লাগলে আপনার মতামত কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের সুন্দর মতামত আমাদের লেখালেখির আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দেবে। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ