অনলাইন থেকে আয় করার সেরা ৫টি উপায়

 

             অনলাইন থেকে আয় করার সেরা ৫টি উপায়ঃ

            বর্তমান সময়ে মানুষের প্রযুক্তি ও অনলাইন নির্ভর মানসিকতার কারণে অনলাইনে উপার্জন করা বেশ সহজ হয়ে গেছে। বর্তমানে প্রযুক্তির এর যুগে মানুষ সকালে থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রযুক্তির উপরে নির্ভরশীল। ইন্টারনেট মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে। মানুষের এই প্রযুক্তি ও অনলাইন নির্ভর মানসিকতার কারণে বিশেষ কোনো ডিগ্রি বা দক্ষতা না থাকলেও অনেকে বাড়িতে বসে অনলাইনে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন।

 

          বর্তমান সময়ে মানুষ প্রযুক্তি ও অনলাইন নির্ভর। প্রযুক্তির এর যুগে খুব সহজেই মানুষ ভালো একটা পরিমানের অর্থ অনলাইন থেকে উপার্জন করছে। মানুষ এখন অনলাইনে অর্থ আয়ের জন্য নানা কৌশল প্রয়োগ করছে।  অনলাইনে আয় করার জন্য জন্য অজস্র উপায় রয়েছে। চাইলেই খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আপনিও ইনকাম করতে পারবেন। কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট, ইউটিউব, ফেসবুক ও রিসোর্স আছে, যা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

 আপনি যদি অনলাইন ইনকাম সেক্টরে নতুন হন, এই আনুচ্ছেদটি আপনাকে অনেক সহায়তা করবে।

 

           অনলাইন আয় এর সেরা ৫টি উপায়ঃ

          অনেক অনলাইন ইনকাম সোর্স আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনলাইন প্রতারণার মুখে পড়তে পারেন। অনলাইনে কাজ করে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার সুযোগ নেই। তাই এ ধরনের প্রতারণামূলক কাজের ক্ষেত্র থেকে নিজেকে সতর্ক রাখতে হবে। বর্তমানে  অনলাইন ইনকামের অসংখ্য মাধ্যম আছে।  এই পোস্টে সেরা ৫টি অনলাইন ইনকামের উপায় আলোচনা করব। যেগুলো থেকে আপনি অনেকটা নিশ্চিন্তে আয় করতে পারবেন।

 

            ১। ব্লগিং করে আয়ঃ

           ব্লগিং অনলাইন আয়ের কার্যকরী একটা পদ্ধতি। অনলাইন ইনকাম করার জন্য সেরা ও অন্যতম একটি উপায় হলো ব্লগিং। এই পদ্ধতিতে প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। দুই উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করা যায়। একটি হচ্ছে নিজের ব্লগ সাইট তৈরি। ব্লগ মূলত একটি ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মতো। আপনিও চাইলে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট খুলতে হবে। তারপর সেখানে লেখালেখি করতে হবে। লেখালেখি করে ইনকাম করতে আপনাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। যার ওই বিষয়টি জানার দরকার সে এসে পড়ে যাবে। চাইলে নিজে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগ চালু করতে পারেন। 

          আবার ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্মে বিনা মূল্যে ব্লগ শুরু করতে পারেন। ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স এড নেটওয়ার্ক দিয়ে মনিটাইজ করে নিতে হবে। ব্লগাররা গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে এখন মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন। বিজ্ঞাপন, ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল, পণ্যের পর্যালোচনা প্রভৃতি নানা উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন। এছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগ লিখে আয় করতে গেলে প্রচুর সময় ও ধৈর্য থাকতে হবে।

 

           ২। ইউটিউবিং করে আয়ঃ

          আপনি ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে পারেন। ইউটিউব হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট অথবা প্লাটফর্ম। আপনার কন্টেন্ট যদি ভালো থাকে, তাহলে খুব তাড়াতাড়িই আপনি ভিউয়ার পেয়ে যাবেন। ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে আগে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। সেই চ্যানেলের প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করতে হবে। আপনার চ্যানেল যে ক্যাটাগরির আপনাকে ঐ ক্যাটাগরির ভিডিও আপলোড করতে হবে। যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি, সেই বিষয়ে ভিডিও আপনার চ্যানেল না রাখলে মানুষ তা দেখবে না। 

          ভিডিও না দেখলে আয় হবে না। ১ বছরে সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে এবং ন্যূনতম ৪০০০ ঘন্টা অয়াজ টাইম হয়ে গেলে আপনি মানিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর পরে প্রতিটা ভিডিওতে মানিটাইজেশন একটিভেট করে নিলেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। চ্যানেলের সাবসক্রাইবার ও ভিডিও দেখার সময় বাড়লে আয়ের সম্ভাবনা বাড়বে। এছাড়াও আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা কোন কোম্পানির স্পন্সর করে ও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

 

          ৩। ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয়ঃ

          এখনকার অনলাইনের কাজের ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা ব্যাপক। আপনি ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগারে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে কিছু লেখা পাবলিশ করে সেটি মনিটাইজ করে বিক্রি করতে পারেন। একটি ভালো ওয়েবসাইটের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। আপনিও চাইলে একটি ভালো ওয়েবসাইট বানাতে পারেন এবং সেটি বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারেন। ওয়েবসাইট বানানো খুব সহজ। আপনার সাইটে যদি পরিমিত পরিমান ট্রাফিক থাকে, সেক্ষেত্রে বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারেন। এডসেন্স অ্যাপ্রুভ ওয়েবসাইটের দাম প্রায় ১৫-৩০ হাজার টাকা। 

            ট্র্যাফিক কোয়ালিটি ভেদে এডসেন্স ওয়েবসাইটের দামে বিভিন্ন তারতম্য দেখা যায়। দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার দ্বারা তৈরি ওয়েবসাইট গুলো বেশি দামে বিক্রি হয়। ওয়েবসাইট তৈরিতে এখন কোডিং আর ওয়েব ডিজাইন দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লায়েন্ট ও কাজের ওপর ভিত্তি করে ওয়েব ডিজাইনারের আয় বাড়তে থাকে। আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনি নিজে নিজে ভালো ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে পর্যাপ্ত কন্টেন্ট আপলোড করে সেখান সাইটটি সচল করে সেটিকে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন।

  

           ৪। ফেসবুক পেজ থেকে আয়ঃ

           সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজের মাধ্যমে গ্রাহক ও ব্যবসায়ী উভয়ই উপকৃত হয়ে থাকেন। পৃথিবীর সবচাইতে বড় সোশ্যাল মিডিয়া হলো ফেসবুক।  আমরা চাইলে নিজে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেকানে ভিডিও আপলোড করে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারি। ফেসবুকে বহু মানুষ প্রতিদিন এই প্ল্যাটফর্মে অনেক সময় ব্যয় করে। ফলে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করাও আমাদের জন্য সহজ। ফেসবুকে একাধিক ভাবে টাকা আয় করা যায়। এজন্য আপনার একটি ফেসবুক পেজ অথবা ফেসবুক গ্রুপ থাকতে হবে। ফেসবুকের নতুন আপডেটে এখন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিও আপলোড করেও ইনকাম করা যায়। এজন্য আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি প্রফেশনাল মোড হতে হবে।

 

          ৫। আর্টিকেল লিখে ইনকামঃ

যাঁরা ভালো লেখালেখি করতে পারেন এবং একাধিক ভাষায় সাবলীল লিখতে পারেন, তাঁদের কাজের জন্য বসে থাকতে হয় না। আর্টিকেল লিখেও আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই এখন ব্লগ আর্টিকেল লিখে মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করছেন। আর্টিকেল লেখার মানের ওপর ভিত্তি করে আয় আসে।

অনলাইন থেকে আয়