ঘরে বসে আয় করার ৯ টি উপায়
১। ফ্রিল্যান্সিং করে আয়ঃ
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং সবচেয়ে জনপ্রিয়। অনলাইন মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে ঘরে
বসে আয় করার অন্যতম
এক উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। আপনি চাইলে আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন। এসব সাইট থেকে কাজ করে প্রতি ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০
ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়।
বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট ও ব্যাংক এর
মাধ্যমে আপনার আয় বুঝে নিতে
পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ আপনি
ঘরে বসে করতে পারবেন। কাজদাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দেয়।
২। নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়ঃ
আপনি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে ঘরে বসে আয় করতে পারেন।ওয়েবসাইট তৈরি করার পর বিভিন্ন টপিক সিলেক্ট করে আর্টিকেল পাবলিশ করবেন। যখন আপনার ওয়েবসাইট এ বেশি ভিজিটর আসতে থাকবে। তখন গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভ হলে। গুগলের বিজ্ঞাপন আপনার সাইটে দেখানো শুরু হবে। তখন থেকে আপনার আয় আসতে শুরু করবে। আপনার ওয়েবসাইটে দর্শক বেশি আসলে, আয়ের পরিমাণ বাড়তে থাকবে।
৩। গ্রাফিকস ডিজাইন করে আয়ঃ
অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার আন্যতম
একটি উপায় হল গ্রাফিকস ডিজাইন।
বর্তমানে গ্রাফিকস ডিজাইনের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনিও গ্রাফিকস
ডিজাইন শিখে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।
গ্রাফিকস ডিজাইনের মাধ্যমে আয় করতে হলে
আপনাকে এ কাজে অনেক
দক্ষ হতে হবে। গ্রাফিকস
ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে।
৪। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয়ঃ
অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার আন্যতম
একটি উপায় হল সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং। আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ থাকে এবং ঐ পেজের ফলোয়ার
সংখ্যা বেশি হয়। তাহলে যে কোন কোম্পানির
পণ্যের প্রচারণার মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং মূলত ফেসবুক, টুইটার, পিন্টারেস্ট, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি মাধ্যমে হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সোস্যাল
মিডিয়া মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড়
মাধ্যম হল ফেসবুক। বিভিন্ন
পোস্ট তৈরি, ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমে
প্রকাশ করে তা ভাইরাল করতে
পারলে ভালো অর্থ আসে।
৫। ডেটা এন্ট্রি
করে আয়ঃ
অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার আন্যতম
একটি উপায় হল ডেটা এন্ট্রি।
অনলাইনে ডেটা এন্ট্রি হচ্ছে একটি সহজ কাজ। ডেটা এন্ট্রি কাজে আয় খুব কম।
আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, সহ
অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ
রয়েছে। যাঁদের কাজে দক্ষতা বেশি থাকে, তাঁরা খুব সহজে ডেটা এন্ট্রির কাজ পান।
৬। কনটেন্ট
রাইটিং করে আয়ঃ
অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার আন্যতম
একটি উপায় হল কনটেন্ট রাইটিং
করে আয়। বর্তমানে অনলাইন সেক্টরে কন্টেন্ট রাইটার এর চাহিদা অনেক
বেশি। যাঁরা ভালো লেখালেখি করতে পারেন এবং একাধিক ভাষায় লিখতে পারেন, তাঁদের কাজের জন্য বসে থাকতে হয় না। আর্টিকেল
লিখেও আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই এখন ব্লগ আর্টিকেল লিখে মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করছেন। আর্টিকেল লেখার মানের ওপর ভিত্তি করে আয় আসে।
৭। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ঃ
অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার আন্যতম
একটি উপায় হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আপনার ওয়েবসাইটে অন্যের প্রোডাক্ট প্রচারের মাধ্যমে বিক্রি করাই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি
যদি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোন প্রোডাক্টের বিক্রি করতে পারেন। তাহলে বিক্রিত প্রোডাক্টের দাম থেকে নির্ধারিত হারে কমিশন পাবেন। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যত বেশি প্রোডাক্ট
বিক্রি করতে পারবেন, তত বেশি বিক্রিত
প্রোডাক্টের দাম থেকে নির্ধারিত হারে কমিশন পাবেন।
৮। ব্লগিং করে আয়ঃ
অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার আন্যতম
একটি উপায় হল ব্লগিং। অনলাইন
ইনকাম করার জন্য সেরা ও অন্যতম একটি
উপায় হলো ব্লগিং। এই পদ্ধতিতে প্রতি
মাসে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। দুই উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করা যায়।
একটি হচ্ছে নিজের ব্লগ সাইট তৈরি। ব্লগ মূলত একটি ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মতো। আপনিও
চাইলে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট খুলতে হবে। তারপর সেখানে লেখালেখি করতে হবে।
লেখালেখি করে ইনকাম করতে আপনাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। যার ওই বিষয়টি জানার
দরকার সে এসে পড়ে
যাবে। চাইলে নিজে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগ চালু করতে পারেন। আবার ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্মে
বিনা মূল্যে ব্লগ শুরু করতে পারেন। ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স এড নেটওয়ার্ক দিয়ে
মনিটাইজ করে নিতে হবে। ব্লগাররা গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে এখন মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন। বিজ্ঞাপন, ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল, পণ্যের পর্যালোচনা প্রভৃতি নানা উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন।
৯। ইউটিউবিং করে আয়ঃ
অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার আন্যতম একটি উপায়
হল ইউটিউবিং করে আয়। আপনি ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে পারেন। ইউটিউব হলো বিশ্বের
সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট অথবা প্লাটফর্ম। আপনার কন্টেন্ট যদি ভালো থাকে, তাহলে
খুব তাড়াতাড়িই আপনি ভিউয়ার পেয়ে যাবেন। ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে
আগে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। সেই চ্যানেলের প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করতে হবে।
আপনার চ্যানেল যে ক্যাটাগরির আপনাকে ঐ ক্যাটাগরির ভিডিও আপলোড করতে হবে।
যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি, সেই বিষয়ে ভিডিও আপনার চ্যানেল না রাখলে মানুষ তা দেখবে না। ভিডিও না দেখলে আয় হবে না। ১ বছরে সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে এবং ন্যূনতম ৪০০০ ঘন্টা অয়াজ টাইম হয়ে গেলে আপনি মানিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর পরে প্রতিটা ভিডিওতে মানিটাইজেশন একটিভেট করে নিলেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।
0 মন্তব্যসমূহ